১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

আলোচিত সন্ত্রাসী ‘ছোট সাজ্জাদ’ ঢাকায় শপিং করতে গিয়ে ধরা

চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ‘ছোট সাজ্জাদ’কে রাজধানীর বসুন্ধরা মার্কেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এডিসি মো: জাহাঙ্গির আলম ।

সিএমপির একটি সূত্র জানিয়েছে, আজ শনিবার ঢাকা বসুন্ধরা সিটিতে বউ নিয়ে শপিং করতে যায় ছোট সাজ্জাদ,  সেখানেই তাকে ধরে ডিবি পুলিশের একটি টিম, তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ‘ছোট সাজ্জাদ’ চট্টগ্রামের হাটহাজারি উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মো: জামালের ছেলে, তিনি বায়েজিদ, অক্সিজেন ও চান্দগাঁও এলাকায় চাঁদাবাজি, অস্ত্র প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিলেন।

তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, বায়েজিদ বোস্তামি, চান্দগাঁও এবং পাঁচলাইশ এলাকার হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ১০টিরও বেশি মামলার আসামি তিনি।

বায়েজিদ বোস্তামী থানা-সংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো: জামালের ছেলে সাজ্জাদ ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়া এলাকায় এক চায়ের দোকানে বসে থাকা তাহসিন নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা সেই মামলায় পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ‘ছোট সাজ্জাদ’কে প্রধান আসামি করা হয়।

এছাড়া, প্রায় দুই দশক আগে শাহ আমানত সেতুর সংযোগ সড়কে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহনকারী মাইক্রোবাসে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে আটজনকে হত্যার ঘটনায়ও তার সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে জানা যায়।

ফেসবুক লাইভে ওসিকে হুমকি

সাম্প্রতিক সময়ে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ফেসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফ হোসেনকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দেন ‘ছোট সাজ্জাদ’। ১৯ মিনিটের ওই লাইভে তিনি ওসিকে ‘বাড়াবাড়ি’ না করার হুঁশিয়ারি দেন এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানোর জন্যই লাইভে আসার দাবি করেন।

তিনি বলেন, ‘ওসি আরিফ যদি পুলিশ না হতেন, তাহলে রাস্তায় ন্যাংটো করে পেটাতাম।’ তবে আদালতের প্রতি সম্মান রেখে তিনি এখনো কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে দাবি করেন সাজ্জাদ।

এই ঘটনায় ওসি আরিফ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যার ভিত্তিতে পুলিশের পক্ষ থেকে সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

শহিদ মিনার এলাকায় সিএমপি ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ নির্দেশনা

আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস চাঁদাবাজি নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল

আলোচিত সন্ত্রাসী ‘ছোট সাজ্জাদ’ ঢাকায় শপিং করতে গিয়ে ধরা

আপডেট সময়: ০৬:৪৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ‘ছোট সাজ্জাদ’কে রাজধানীর বসুন্ধরা মার্কেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এডিসি মো: জাহাঙ্গির আলম ।

সিএমপির একটি সূত্র জানিয়েছে, আজ শনিবার ঢাকা বসুন্ধরা সিটিতে বউ নিয়ে শপিং করতে যায় ছোট সাজ্জাদ,  সেখানেই তাকে ধরে ডিবি পুলিশের একটি টিম, তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ‘ছোট সাজ্জাদ’ চট্টগ্রামের হাটহাজারি উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মো: জামালের ছেলে, তিনি বায়েজিদ, অক্সিজেন ও চান্দগাঁও এলাকায় চাঁদাবাজি, অস্ত্র প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিলেন।

তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, বায়েজিদ বোস্তামি, চান্দগাঁও এবং পাঁচলাইশ এলাকার হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ১০টিরও বেশি মামলার আসামি তিনি।

বায়েজিদ বোস্তামী থানা-সংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো: জামালের ছেলে সাজ্জাদ ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়া এলাকায় এক চায়ের দোকানে বসে থাকা তাহসিন নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা সেই মামলায় পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ‘ছোট সাজ্জাদ’কে প্রধান আসামি করা হয়।

এছাড়া, প্রায় দুই দশক আগে শাহ আমানত সেতুর সংযোগ সড়কে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহনকারী মাইক্রোবাসে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে আটজনকে হত্যার ঘটনায়ও তার সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে জানা যায়।

ফেসবুক লাইভে ওসিকে হুমকি

সাম্প্রতিক সময়ে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ফেসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফ হোসেনকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দেন ‘ছোট সাজ্জাদ’। ১৯ মিনিটের ওই লাইভে তিনি ওসিকে ‘বাড়াবাড়ি’ না করার হুঁশিয়ারি দেন এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানোর জন্যই লাইভে আসার দাবি করেন।

তিনি বলেন, ‘ওসি আরিফ যদি পুলিশ না হতেন, তাহলে রাস্তায় ন্যাংটো করে পেটাতাম।’ তবে আদালতের প্রতি সম্মান রেখে তিনি এখনো কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে দাবি করেন সাজ্জাদ।

এই ঘটনায় ওসি আরিফ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যার ভিত্তিতে পুলিশের পক্ষ থেকে সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।