১২:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

নিজ কার্যালয়ে র‍্যাব কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ

জাহাঙ্গীর আলম : চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় র‌্যাব কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। বুধবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় র‌্যাব-৭ এর নগরের বহদ্দারহাট ক্যাম্পে নিজ অফিস কক্ষে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। পলাশ সাহার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। পারিবারিক কলহের জেরে পলাশ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা নগর পুলিশ কর্তৃপক্ষের।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বুধবার সকাল দশটার দিকে অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে নিজের অফিস রুমে ঢুকেন র‌্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা। এরপর হঠাৎ গুলির শব্দ শুনেন সহকর্মীরা। দ্রুত তার অফিস কক্ষে গিয়ে দেখতে পান মেঝেতে পড়ে আছে পলাশের রক্তাক্ত দেহ। আর পাশের টেবিলে পাওয়া যায় তার হাতে লেখা একটি ‘সুইসাইড নোট’। পলাশ সাহা র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সুইসাইড নোটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।’

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ. আর. এম. মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা নিজের ইস্যু করা পিস্তল দিয়ে সুইসাইড করেছেন। আমরা গুলির শব্দ শুনে রুমে গিয়ে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করি। পরবর্তীতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাস্থলে পরিবারের বিষয়ে তার লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথাও বলেছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

শহিদ মিনার এলাকায় সিএমপি ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ নির্দেশনা

মাদকের টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করল ছেলে

নিজ কার্যালয়ে র‍্যাব কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ

আপডেট সময়: ০২:২৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

জাহাঙ্গীর আলম : চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় র‌্যাব কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। বুধবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় র‌্যাব-৭ এর নগরের বহদ্দারহাট ক্যাম্পে নিজ অফিস কক্ষে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। পলাশ সাহার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। পারিবারিক কলহের জেরে পলাশ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা নগর পুলিশ কর্তৃপক্ষের।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বুধবার সকাল দশটার দিকে অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে নিজের অফিস রুমে ঢুকেন র‌্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা। এরপর হঠাৎ গুলির শব্দ শুনেন সহকর্মীরা। দ্রুত তার অফিস কক্ষে গিয়ে দেখতে পান মেঝেতে পড়ে আছে পলাশের রক্তাক্ত দেহ। আর পাশের টেবিলে পাওয়া যায় তার হাতে লেখা একটি ‘সুইসাইড নোট’। পলাশ সাহা র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সুইসাইড নোটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।’

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ. আর. এম. মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা নিজের ইস্যু করা পিস্তল দিয়ে সুইসাইড করেছেন। আমরা গুলির শব্দ শুনে রুমে গিয়ে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করি। পরবর্তীতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাস্থলে পরিবারের বিষয়ে তার লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথাও বলেছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।